ইবিতে খেলার মাঠে সংঘর্ষ, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৩ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৬
ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খেলার মাঠে বল যাওয়া ও এক মাঠের ভেতর আরেকজন দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
কমিটিতে চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানপূর্বক সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন- শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান এবং খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে আগামী শনিবার সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর বিকেলে ক্যাম্পাসের ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন ইবির খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে মাঠের একপাশে থাকা কংক্রিটের পিচে ক্রিকেট খেলছিলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হওয়ায় উভয় পক্ষের মাঠেই উভয়পক্ষের বল যাচ্ছিল। এ সময় ক্রিকাটদের মধ্যে তুর্য নামে এক শিক্ষার্থী (থার্ড ম্যান) ফুটবল মাঠের ভিতর দাড়িয়ে ফিল্ডিং করছিল। একপর্যায়ে এক ফুটবলার আইসিটি বিভাগের জাকারিয়া মাঠের তাদের অংশে ফিল্ডার না রাখতে বলায় তুর্যের সঙ্গে বাকবিত-া হয়। একে কেন্দ্র করেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান উভয়পক্ষ। মারামারিতে ব্যবহার করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সাজসজ্জায় ব্যবহৃত লাঠি, খেলার স্ট্যাম্প ও ব্যাট। এতে তুর্য গুরুতর আহত হওয়া ছাড়াও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-সম্পাদক সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হলে সেখানেও মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডি, ইবি থানার পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এছাড়াও ওইদিন রাতে হল কেন্দ্রিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে কয়েকটি হলের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসের আগের দিন এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর নেপথ্যের ঘটনা ও ব্যক্তিরা বের হয়ে আসবে বলে আসা করছি।
সারাবাংলা/ইআ