Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগুন সন্ত্রাসীরা গণতান্ত্রিক ধারায় আসুক: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৬ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২১:০২

ঢাকা: হরতাল-অবরোধের নামে রাজনৈতিকভাবে অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা এগুলো করছে তাদের একটু আক্কেল আসুক। তারা এইভাবে ধ্বংসাত্মক কাজ না করে গণতান্ত্রিক ধারায় যোগ দিক, জনগণের উপর আস্থা-বিশ্বাস রাখুক।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ধারাবাহিক গণতন্ত্র না থাকলে কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সরকারের টানা মেয়াদে ১৫ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারে যারা, কেন মারে সেটিই আমার প্রশ্ন।’

অগ্নিসন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এটি কী কারণে? এটি আমার কাছে বোধগম্য না। জনগণের জন্য যদি কাজ করতে হয়, তাহলে জনগণকে হত্যা করে সেই লাশের ওপর পা দিয়ে কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করতে পারে? এ রকম অমানবিকতা তো কোথাও দেখি না। আমার ভাবতেই অবাক লাগে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা শুধু আমাদের অভ্যন্তরে না আঞ্চলিক বা সারাবিশ্বব্যাপী শান্তি চাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা না। আমরা এই পর্যন্ত আমাদের এই পররাষ্ট্রনীতিতে চলছি।’

সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে আঞ্চলিকভাবে আমাদের সমুদ্রসীমা, ল্যান্ড বাউন্ডারি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিসহ সব কাজ অত্যন্ত সহজ সুচারুভাবে করতে পেরেছি বলে দাবি করেন ।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ। মানুষ যখন একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল। মানুষ আশার আলো দেখছিল। সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল; ঠিক সেই সময় অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল-অবরোধ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করছে, একটি শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এটিই হচ্ছে সব থেকে কষ্টের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি কথা বলতে চাই, বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছি। আমার হারাবারও কিছু নেই পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেহেতু আমার বাবা সারাজৗীবন সংগ্রাম করেছেন। এই বাংলাদেশটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে ২০২৬ সালে। এই যাত্রা যেন ভালোভাবে করতে পারি সে জন্য এরইমধ্যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কারণ বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ যেন আর বন্ধ করতে না পারে। সেটিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনায় আসতে পেরে নিজের আনন্দের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিতে সমরে সব জায়গায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সদা সচেষ্ট এবং শক্তিশালী। শক্তিশালী হিসেবেই আমরা গড়ে তুলছি।’

‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তিতে বাস করতে চাই। কিন্তু আমার দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য বা আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি আমাদের যেন থাকে সেটিই আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে। পাশাপাশি আামদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও তারা অবদান রেখে যাচ্ছেন’- সে জন্যও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে চলার দৃঢ়তা ব্যক্ত করে আগামী দিনে ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালির এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়ন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সেই প্রত্যয় আজকে সশস্ত্র বাহিনীতে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর