কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই তাণ্ডব চালায় বিএনপির কর্মীরা: ডিবি
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৯ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৩
ঢাকা: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারিকাজে বাধা দেয়।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন তিনি। একইসঙ্গে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।
এসব ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং বিএনপি-যুবদলের কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। এছাড়া বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনও (২৯) গ্রেফতার হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করা হয়। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটওয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।’
মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমন কি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন ‘দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছি’।
এছাড়াও নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু কন্যা “বাবা, বাবা বলে কাঁদছে” এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে “উই আর নট আনহ্যাপি”। গ্রেফতারের পর সে সবকিছু স্বীকার করেছে।
পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাশকতা ও আগুনের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতারের পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে এই নাশকতা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত বলেও গোয়েন্দা পুলিশের এই কমিশনার।
সারাবাংলা/জেআর/এমও