শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৫ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৯
উত্তর গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় ৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। আক্রান্ত আশ্রয় শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলও আছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোরে ওই শরণার্থী শিবিরে থাকা জাতিসংঘ পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষরা এই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস ‘শিশু, নারী ও পুরুষদের মৃত্যুর মর্মান্তিক খবরের’ নিন্দা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তার জন্য একটি জায়গা। বেসামরিক নাগরিকদের এ ধরনের হামলার শিকার হওয়া উচিত নয়।’
জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে বোমা হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ এবং ‘জাতিসংঘের প্রতি ইচ্ছাকৃত অপমান’ বলে অভিহিত করেছে মিশর।
শনিবার জাবালিয়া ক্যাম্পের আরেকটি ভবনে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৩২ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ১৯ জন শিশু।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও বলেছে, তাদের সৈন্যরা জাবালিয়াসহ গাজায় আগ্রাসন বাড়াচ্ছে। হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাবালিয়ার হামলায় ২০০ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ও বার্তা সংস্থা এএফপি’র যাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় একটি ভবনের মেঝেতে রক্ত ও ধুলোয় ঢাকা মরদেহ পড়ে আছে।
হামাসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজায় ইসারয়েলের ক্রমাগত বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি শিশু।
সারাবাংলা/ইআ