দ্বাদশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহ
১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৪
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মনোনীত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অফিসে সভায় এ তথ্য জানান দলের সভাপতি ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।
১ম সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এবং সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করে গঠিত দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৪টি উপ-কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এরইমধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার ট্রাক স্ট্যান্ডের উত্তর পাশে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভবনে অফিস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জন্য নির্দিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত এইচ টি ইমামের কক্ষে বসা শুরু করেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এইচ টি ইমামের কক্ষে বসার পর কবির বিন আনোয়ার দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত। তবে এখন পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড কবির বিন আনোয়ারকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।
এইচ টি ইমাম ২০২১ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় থেকে এই পদে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকেন। তিনি সারাদেশের নির্বাচনি প্রচারাভিযানসহ সাংগঠনিক বিষয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। দলীয় সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানামুখী ব্যবস্তায় সম্পৃক্ত থাকেন। তাই জাতীয় নির্বাচনকালীন সময় কো-চেয়ারম্যানের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি সারাদেশে নির্বাচনের অবস্থান পর্যবেক্ষণ, তদারকি, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনাসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মুখোমুখি হওয়াসহ নানাবিধ কাজে জড়িত থাকেন।
১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানে পদটি আলোচনায় আসে। সেবার সাবেক সচিব ও কূটনীতিক শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওই নির্বাচনে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। অবশ্য সেবার তিনি নিজেও প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মৃত্যুর পর এইচ টি ইমামকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পায়।
২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কো-চেয়ারম্যান হিসেবে এইচ টি ইমাম দায়িত্ব পালন করেন। তবে তার মৃত্যুর পর এই পদটি এতদিন খালি ছিল।
সারাবাংলা/এনআর/একে