নির্বাচন হবে নিশ্চিত, বাধা দিলে শাস্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৩ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১২
ঢাকা: সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। তাতে বাধা দিলে শাস্তি দেওয়া হবে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করব। আমরা নির্বাচনমুখি দল, নির্বাচনের প্রতি বিশ্বাস রাখি। আমাদের জনগণের প্রতি বিশ্বাস রাখি। দূতাবাসগুলো আমাদের কাছে সেকেন্ডারি, মেইন হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। কেউ যদি নির্বাচন নষ্ট করার চেষ্টা করে, আমরা সেটা করতে দেব না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। এটা নিশ্চিত, এবং এটাতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। যারা বাধা দেবে, তাদের আমরা শাস্তি দেব।’
দেশে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আমরা সংবিধান অনুযায়ী অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা জ্বালাও-পোড়াও চাই না। অগ্নি-সন্ত্রাস চাই না। গত ১৭ দিনে প্রায় ১৫৪টা গাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করেছে। আর ১৩২টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছে, ৬টি পুলিশ স্টেশন জ্বালিয়েছে। আমরা জ্বালাও পোড়াও সহ্য করব না। সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা করার দায়দায়িত্ব আমাদের আছে। মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব আছে। আমাদের লোক জীবন্ত অবস্থায় জ্বালিয়ে মেরে ফেলবে, আমরা এটা হতে দেব না।’
তফসিল হলে বিদেশি নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কাতে সরকার কান দেয় না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এগুলো হলো জুজুর ভয়। জুজুর ভয় থেকে দূরে থাকেন। আমাদের এখন ৭০ দশকের মতো অবস্থা নয়, আমরা এখন অনেক সবল।’
বিএনপিকে বড় দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ দিতে হবে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ’বিএনপি যে এখনও বড় দল সেটা তাদের নির্বাচনে এসে প্রমাণ করতে হবে। ২০০৮ সালে ভালো নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় তারা ২৯টা আসন পায়। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন ৮টি আসন পায়। বড় দল হলে এত অল্প সিট কেন।’ বিএনপিকে মিডিয়া পার্টি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের পার্টি হলো আওয়ামী লীগ।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবস্থা ভালো নয়— এই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা বোধহয় ঘুমাচ্ছে। ওরা ঘুমাচ্ছে বুঝতেছি, কারণ গাজায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেটা নিয়ে একটা কথা বলে না। সুতরাং ঘুমাচ্ছে, কিংবা তারা খুব পার্টিজান। না হলে, গাজায় যেসব মানবিক আইন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, হাসপাতালে আক্রমণ হচ্ছে বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে, সেখানে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের প্রতি আপনার বিশ্বাস আসবে কিভাবে, যারা এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে চুপ করে থাকে। তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আমি আশা করি, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।’
সারাবাংলা/আইই