Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্বার খুলল ‘শেখ হাসিনা সরণি’ এক্সপ্রেসওয়ের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৬ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২৬

ঢাকা: রাজধানীর পূর্বাচলে নির্মাণ করা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে ‘শেখ হাসিনা সরণি’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সড়কটি প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করছে। জনগণের জন্য আজ এই সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি খুলে দেওয়া হলো।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী নির্মিত ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। এ সময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারাদেশে ১০১টি প্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিল।

বিজ্ঞাপন

শতভাগ কাজ শেষ হওয়ার আগেই এই পথটা খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণের চলাচলের। ঢাকার নতুন গেইটওয়ে হিসাবে যান চলাচলে ভূমিকা রাখবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক, যার ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে। মহাসড়কের দু’পাশে রয়েছে ১০০ ফুট খাল। বিশেষ ব্যবস্থা থাকায় ভারী বৃষ্টিতেও এ পথে হবে না জলাবদ্ধতা। তাছাড়া নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও এই প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

রাজউকের তত্ত্বাবধানে এই পথের কাজ করেছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো স্টপওভার পয়েন্ট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা অন্য কোনো বাধা নেই। তাই যানবাহনগুলো তার পুরো দৈর্ঘ্য ছয় বা সাত মিনিটের মধ্যে চলতে পারে। এতে রাজধানী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ‘শেখ হাসিনা সরণি’র দুই পাশে ১০০ ফুট চওড়া ও ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালের উদ্বোধন করেন। ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, চার লেনের সার্ভিস রোড, নারায়ণগঞ্জের বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে এবং চার লেনের সার্ভিস রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৮৪ দশমিক ৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ‘শেখ হাসিনা সরণি’র ওপর পাঁচটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ, ১২টি সেতু, ছয়টি আন্ডারপাস, খালের ওপর আরও ১৩টি সেতু, ৩৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার হাঁটার পথ, ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, দুইটি স্লুইস গেট এবং ১১টি সাব স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি ১ হাজার ১৭০টি সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত অধিদফতর এবং চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত ১৫টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

একই অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ম পর্যায় (১ম ধাপে) ১১টি জেলা ও ৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ হিসাবে পূর্বে ঘোষিত জেলা-উপজেলাসহ সারাদেশে মোট ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ অন্যান্যরা মন্ত্রী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

টপ নিউজ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা সরণি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর