ছাত্র নির্যাতন মামলায় উইলস লিটলের ৭ শিক্ষকসহ ৯ জনের জামিন
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০১
ঢাকা: রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাত শিক্ষকসহ ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ. ন. ম সামসুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান,প্রিতীষ বিশ্বাস, সিকিউরিটি গার্ড- জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা।
ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান বাদী হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের ৯ম শ্রেণির মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র। গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের সাময়িক বরখাস্ত এবং কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হলে সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী। এ সময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
সেই থেকে আসামিরা বাদী ও তার সন্তানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। কারণে- অকারণে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা এবং ছোট করে কথা বলাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হসপিটালে ভর্তি করানো হয়।
পরবর্তীতে আদালতে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২৩ অক্টোবর পিবিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারির আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/একে