চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া বাইডেন
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১২:০৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৯
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বৈঠকে চীনের সঙ্গে তার দেশের সামরিক যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন বাইডেন।
বাইডেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি হবেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হতে যাচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সিবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট চীনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়।
সুলিভান সিবিএসের ফেস দ্য নেশন শোতে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, আমাদের যোগাযোগের এই চ্যানেলগুলো চালু থাকা দরকার। এতে ভুল বুঝাবুঝি হবে না।
সুলিভান বলেন, পুনরুদ্ধার করা সামরিক সম্পর্ক সিনিয়র নেতৃত্ব থেকে কৌশলগত অপারেশনাল স্তর পর্যন্ত অর্থাৎ, প্রতিটি স্তরে বিস্তৃত্ব হতে পারে।
সম্প্রতি সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সুলিভান বলেন, বৈঠকের সময় সামরিক সম্পর্কের অগ্রগতি বিষয়ে শি জিনপিংয়ের কোর্টে বল ঠেলে দেবেন জো বাইডেন। তবে এ বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিতে রাজি হননি সুলিভান।
তিনি বলেন, মূলত চীনারা যোগাযোগ চ্যানেলগুলো বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চান।
চলতি বছরের শুরুতে দুই ক্ষমতাধর দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন উড়ে আসার পর সম্পর্ক তলানিতে নামে।
এর আগে, গত বছরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় চীন।
জো বাইডেন চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগের এই চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সংকল্পবদ্ধ। তবে শি জিনপিং এ ব্যাপারে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সম্পর্কটি এখন পাঁচ বা ১০ বছর আগের সম্পর্ক নয়। এখনকার লক্ষ্য হলো, প্রতিযোগিতার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সংঘর্ষ ঝুঁকি ঠেকানো এবং যোগাযোগের চ্যানেলগুলো চালু করা।
সারাবাংলা/আইই