Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতিসংঘে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা আগামীকাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৫ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৩০

ঢাকা: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা (ইউপিআর) প্রক্রিয়ার আওতায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে আগামীকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর)। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার চতুর্থবার এই পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

ইউপিআর বৈঠকে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। প্রতিনিধি দলে থাকবেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

প্রতিনিধি দলটি গত চার বছরে উন্নয়নশীল দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরবে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য প্রতি চার বছরে ইউপিআর অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রথমবার ২০০৯ সালে ইউপিআরে অংশ নেয়। তার পরে ২০১৩ এবং ২০১৮ সালেও অংশ নেয়।

এবারের পর্যালোচনায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের মানবাধিকার পর্যালোচনা করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি দেশ ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য। এর বাইরে জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি সদস্য দেশের যেকোনো দেশ চাইলে এই পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এবারের পর্যালোচনায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে তার জবাব দেবে না বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অধিকারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আদালতে রিভিউ বিচারাধীন। নবায়নের জন্য আদালতে তারা একটি পিটিশন দিয়েছিলেন সেটিও খারিজ হয়েছে। কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি অধিকারকে কোট করে (অধিকারের বরাতে) কোনো তথ্য উপস্থাপন করে, তাহলে সেটি আমরা কমপ্লিটলি ডিজওন (সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ) করব এবং সেটির উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু একই জিনিস অন্যের মাধ্যমে তারা এটি উপস্থাপন করতে পারে। সেটাকে আমরা ইন গুড স্পিরিট নেব (আমরা ভালোভাবে নেব)। সেটি যদি আমাদের সংবিধানের আলোকে হয়, আমাদের সামাজিক ও রিলিজিয়াস আইডলজির (ধর্মীয় আদর্শের) আলোকে হয় তাহলে অবশ্যই আমরা আলোচনা করব।’

সারাবাংলা/আইই/একে

জাতিসংঘ টপ নিউজ মানবাধিকার পর্যালোচনা

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর