‘নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা হলে প্রতিরোধ গড়তে হবে’
১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। নির্বাচনে তারা অংশ নিতেও পারে, নাও নিতে পারে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। নির্বাচন প্রতিহত করা বলা মানেই দেশ বিরোধী ও গণতন্ত্র বিরোধী কথা। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা করা দরকার তা করা হবে।’
রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য পরিষ্কার তারা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। ওই স্বপ্ন দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটেছে। আগামী কত বছর কাটবে জানিনা।’
বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন হবে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি শিডিউল দেবে সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এই সময়ের মধ্যে যারা আসবেন তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আমরা চাই তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসুক। যদি না আসে তাহলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল অংশ না নিলেও আরও অনেক দল অংশ নেবে এবং জনগণের সমর্থন থাকবে। এসবের মধ্য থেকেই একটি আন্তর্জাতিক মানের একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি আসেনি সেগুলোও ব্যাপক জনসমর্থন হয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৫ বছরের পথচলায় পৃথিবীর ৬০ থেকে ৩১তম জিডিপির দেশে পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে অতিক্রম করেছি। কয়েক বছর পর ২৬, আরও পরে ২১ তা পৌঁছাবে। মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি। সামাজিক সূচক, মানব উন্নয়ন স্বাস্থ্য সূচকেও এগিয়ে। বিশ্ব নেতাদের মুখে রোল মডেল বাংলাদেশ। দুঃখজনক হলো বাংলাদেশের এই উন্নয়ন প্রকাশ করতে পারেন না বুদ্ধিজীবিরা। আর বিএনপি কিছুই দেখতে পায় না। গতকাল ১০০ কিলোমিটার রেললাইন (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান যা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা ঠিক করতে করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বৃটিশরা এই অঞ্চলে যে উন্নয়ন শুরু করেছিল সেটার বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ছোটবেলায় পড়েছি গভীর সমুদ্র বন্দরের কথা, এবার তা হচ্ছে। যেটি আমাদের সামুদ্রিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দার উম্মোচন হয়েছে। সারাদেশেই এমন উন্নয়ন হয়েছে। আর এই সময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে গাড়ির ওপরে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ বিরোধী চক্রান্ত ও ধ্বংসের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। অবরোধের নামে আগের রাতে গাড়ি পোড়ানো হয়। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললে কম বলা হবে। মানুষের সম্পত্তির ওপরে সহিংসতা চালানো একটা পরিবারকে ধ্বংস করা। এটা কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারে না। তারা বাইরে আসুক বেরিকেট দিক। যারা দেশের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ভারতে এ বিষয়ে যে বৈঠক হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত যা বলেছে, সেটা যথার্থই বলেছে, ওটা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় আসবে
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় আইনের হাতে। সরকারের হাতে যা ছিল তা করে দিয়েছে। তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেছে। বাকিটা আদালতের বিষয়।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস