‘পোশাক শ্রমিকদের যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই কাজ করতে হবে’
৯ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২৭
ঢাকা: গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, এটা নিয়েই কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক। যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা তো আমরা করে দিই।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এই বৈঠক চলে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহতের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা একটিু বলি। আজ তাদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আমার কাছে এমন খবর আছে- এভাবে তাদের রাস্তায় নামাবে এবং ওরাই তাদের এজেন্ট ঢুকাবে। ওদের ক্ষতি করবে। দরকার হলে লাশ ফেলবে। পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করবে। অনেক জায়গায় অনেক কিছু চেষ্টা করে পারে নাই যখন তখন এই কাণ্ডটা।’
১৯৯৬ সালে কারখানা পরিদর্শন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা। তার সরকারের টানা মেয়াদে শ্রমিকদের নানা ধাপে মজুরি বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ১৪ বছরে ১৬০০টাকা মজুরি থেকে ৮ হাজার ৩০০ টাকায় মজুরি দিয়েছি। আর বর্তমানে সেটা বাড়িয়ে এখন সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়।’
শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা, মাতৃকালীন ছুটিসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পাশাপাশি তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য দলের আন্দোলন-সংগ্রামের কথা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কারখানা রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে, খাদ্য দেয়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে- সেই কারখানা পুড়িয়ে এইভাবে ধ্বংস করেছে। এ পর্যন্ত ১৯টি কারখানায় আক্রমণ করে ধ্বংস করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকরা যদি প্ররোচনায় রাস্তায় নেমে পড়ে তখন যারা তাদের উসকানি দিচ্ছে তারাই কিন্তু তাদের লাশ ফেলবে। তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে। গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে। তারা কী চায়?’
কারখানা ধ্বংস হয়ে গেলে বা উৎপাদন ব্যহত হলে যদি রফতানি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাদের কাজ থাকবে কোথায়?- প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম