সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী কারাগারে
৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১৭
ঢাকা: মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপধারণ করে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে করা পল্টন থানার মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামির ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
হাসান সারওয়ার্দীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, বীর বিক্রম চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন, তিনি পরিস্থিতির শিকার। তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। জামিন দিলে পলাতক হবেন না। আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ অক্টোবর তাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ। এরপর গত ১ নভেম্বর সারওয়ার্দীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট।
গত ৩০ অক্টোবর রাতে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ডিবিপ্রধান হারুন জানান, আরেফী আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী), বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে আরেফীকে উপস্থাপন করেছেন।
তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফী) বলবেন র্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ