আন্দোলন দমাতে নতুন করে গুম করছে সরকার: রিজভী
৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩০ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৩
ঢাকা: আন্দোলন দমাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের নতুন করে গুম করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তিতুমীর কলেজ ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখন পর্যন্ত খোঁজ দিচ্ছে না। এই যে তুলে নিয়ে যাওয়া, এই যে অদৃশ্য করা, গুম করা নতুন করে শুরু হয়েছে। কারণ, নির্বাচন একতরফা করতে হবে, ভোটারবিহীন করতে হবে, জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে হবে। এই ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবার নতুন করে অদৃশ্য করা আর গুম করার কর্মসূচি তারা (সরকার) শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘টার্গেটই করা হয়েছে তরুণদেরকে। তরুণরা আন্দোলন সংগ্রামে ভ্যানগার্ড। তাদেরকেই টার্গেট করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই সংগ্রাম, আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি গণ দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা নিছক বিএনপির দলীয় কর্মসূচি নয়। এটা সামগ্রিকভাবে গোটা জনগণের সংগ্রাম।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির যত নেতা-কর্মীরা রয়েছেন এবং সমমনা দলগুলো যারা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আকুল আহ্বান, শত বাধা অতিক্রম করে যেভাবে কর্মসূচি পালন করে এসেছেন, সেইভাবেই পালন করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে পথে বাধা দেবেন, মহসড়কের অবরোধ তৈরি করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেই।’
‘তবে আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার নানা মহাপরিকল্পনা তারা (সরকার) করছে। আমরা রাস্তায় উপস্থিত হব এবং সরকারের অশুভ নীল নকশা প্রতিহত করব। এ দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। এ দেশে যারা গণতন্ত্র চায়, যারা বাক স্বাধীনতা চায়, যারা নিজের ভোট পছন্দ মতো ব্যক্তিকে দিতে চায়, তারা এই আন্দোলনের অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে রয়েছে’— বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে তার বাড়িতে পুলিশ-র্যাব ধরতে যায় এবং সেখানে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং গোলাগুলি করে। এতে গ্রামবাসী অনেক আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হোসেন দুই-তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজকে মারা গেছেন। এই হত্যালীলা চলছে ক্রমাগতভাবে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কিছু মানছে না। এখানে বিরোধীদল রাখা যাবে না, এখানে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না, সেই শপথ নিয়ে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ তাদের হাতে বন্দুক, তাদের হাতে টিয়ারগ্যাস, তাদের হাতে যে অন্যান্য অস্ত্র এটি কিন্তু আওয়ামী লীগের পয়সায় কেনা নয়, ওইসব কেনা হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। জনগণের বিরুদ্ধে সেই গুলি, সেই টিয়ারগ্যাস, শর্টগানের গুলি সমস্ত কিছু জনগণের ট্যাক্সের পয়সয়ায়। অথচ এসব অস্ত্র জনগণের দিকে তাক করতে গিয়ে একের পর এক শুধু মৃত্যুর মিছিল, মানুষের লাশের সারি তৈরি হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এজেড/একে