Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাভারবাসীর স্বপ্নযাত্রায় নর্দান রুট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৯ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:০৯

ঢাকা: এরার এমআরটি লাইন-৫ এর নর্দান রুটের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকাবাসীকে স্বস্তির স্মার্ট যাত্রা উপহার দিতে আজ এমআরটি লাইন-৬’র (মেট্রোরেল) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মেট্রোরেলে চড়ে মতিঝিল মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে এমআরটি লাইন-৫ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

শনিবার বিকেলে মতিঝিলের আরামবাগে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের অঙ্গীকারে নির্বাচনী বার্তা দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ইতোমধ্যে আরামবাগে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের জনস্রোতের ঢল নেমেছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দার্ন রুটের নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে সাভার। এই পথ হেমায়েতপুর থেকে তুরাগের তলদেশ দিয়ে মিরপুর হয়ে মিলবে ভাটারায়। শনিবার দুপুরে মেট্রোরেল প্রকল্পের উত্তরা-মতিঝিল রুটের ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর সাভার-ভাটারা এমআরটি লাইন-৫ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী উঠা নামায় মোট ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে ৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল স্টেশন হবে।

বিজ্ঞাপন

এমআরটি লাইন-৫ সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী-দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে বনানী যাবে। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। আর গাবতলী থেকে নতুনবাজার অংশ মাটির নিচ দিয়ে হবে। প্রায় ২০ কিলোমিটার হবে এই পথ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি রুট তৈরি হয়ে যাবে। প্রথম পর্বের এমআরটি-৬ এখন বাস্তবতা। এরপরেই শুরু হয়েছে উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এমআরটি-১ এক পর্ব বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, আরেক ধাপ নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল। লাইন ফাইভের নর্দান রুট শেষ হবে ২০২৮ সালে। আর সাউর্দান রুট গাবতলী থেকে কলাবাগান হয়ে কারওয়ানবাজার দিয়ে হাতিরঝিল হয়ে আফতাবনগর। উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এর সার্বিক কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে। আর লাইন-৪ কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি।

প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।

মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

এমআরটি লাইন-৫ টপ নিউজ মেট্রোরেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর