জবি শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তি চেয়ে ফের বিবৃতি অ্যামনেস্টির
৩ নভেম্বর ২০২৩ ০১:২৯ | আপডেট: ৩ নভেম্বর ২০২৩ ০২:১২
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিবৃতিতে খাদিজার চিকিৎসা সেবা দ্রুত নিশ্চিত করাসহ মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপআঞ্চলিক শাখার এক্স তথা সাবেক টুইটারে এক টুইটে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাতিল হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খাদিজাতুল কুবরার (২০) এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে গ্রেফতার হয়ে আছেন। ২০২০ সালে একটি ওয়েবিনারে উপস্থাপনার কারণে তাকে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়েবিনারে উপস্থাপনের সময় তার বয়স ১৭ বছর হলেও তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে এবং একের পর এক জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। তার জামিনের পরবর্তী শুনানি ১০ নভেম্বর।
পড়ালেখার জন্য খাদিজার এখন ক্যাম্পাসে থাকা উচিত জানিয়ে বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, একটি কঠোর আইনের জন্য খাদিজার জেলে থাকা উচিত নয়।
২০২০ সালের নভেম্বরে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ নামে একটি সোস্যাল মিডিয়া পেজে ক্যাম্পাসের রাজনীতি নিয়ে একটি ওয়েবিনারে অংশ নেন খাদিজা। ওই ওয়েবিনারে তার এক মন্তব্যকে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রীর মানহানি’র সামিল অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। প্রায় দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বছর ২৮ আগস্ট খাদিজার গ্রেফতারের ১ বছর পূর্ণ হলে তার মুক্তি চেয়ে অ্যামেনেস্টির একই শাখা বিবৃতি দিয়েছিল।
সারাবাংলা/টিআর
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খাদিজাতুল কুবরা জবি শিক্ষার্থী খাদিজা