সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২৬ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৭
ঢাকা: সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমিই এটা (সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট) করে দিয়েছি। আর এবার যখন এসেছি, তাই সেখানে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেবো। আমি নিজে দেবো। আর কারা দিলো না, তার খোঁজও নেব।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে আসতে পারে সত্যি আমি খুব আনন্দিত।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলন পরিচালনা করেন মহাসচিব দীপ আজাদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সারাদেশ থেকে বিএফইউজের সদস্যরা প্রতিনিধি সম্মেলনে তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন। বিকেল ৩টায় একই স্থানে দেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হবে।
সাংবাদিকদের আবাসন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। বিভিন্ন আকারের ফ্ল্যাট আছে। কিছু অর্থ জমা দিয়ে এরপর ১৬ বা ২০ বছরে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২৫ বছরের কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের মালিক যে কেউ হতে যেতে পারেন। এ ধরনের যতগুলো প্রকল্প করেছি, প্রত্যেকটিতেই সাংবাদিকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা আছে। সেখান থেকে কোনো সাংবাদিক ফ্ল্যাট নিতে চাইলে নিতে পারেন। মাসে মাসে আপনি যেমন বাড়ি ভাড়া দেন, সেভাবেই মাসে মাসে টাকা দিয়ে মালিক হয়ে যাবেন। সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, একটা জায়গার দরখাস্ত দিয়েছেন। সেটি আমি আমার অফিসকে দেবো। খুঁজে দেখে জমি যথাযথভাবে যেন দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করে দেব। তাছাড়া জেলায় জেলায় এ ধরনের ব্যবস্থা নেব, যেন আপনারা প্লট পেতে পারেন। আপনাদের সাংবাদিকদের জন্য আলাদাভাবে জায়গার ব্যবস্থা করে দেবো। একটা জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্প আমরা তৈরি করে দেবো।
সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড যখন তৈরি করে দেই, তখন একটা সিড মানি দিয়েছিলাম। তারপর তো যাদের দেওয়ার কথা, তাদের কয়েকজন মাত্র দিয়েছেন। আমি জানি কে কে দিয়েছেন, বেশির ভাগই দেননি। যা হোক, আমি যখন এটা করে দিয়েছি আর এবার যখন এসেছি, সেখানে আরও ১০ কোটি টাকা আমি অনুদান দেবো। বাকিরা কে দেয় না দেয়, সেই খোঁজখবরও রাখব।
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ভোটও চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছি। আমরা সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। আামদের দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে সেটি কার্যকর করব, সে প্রস্তুতিও আছে। তবে সামনে নির্বাচন। নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে একটানা তিনবার সরকারে এসেছি বলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের কাছে যখন একবার এসেছি, নৌকা মার্কায় ভোটটাও চেয়ে যাই, যেন উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, এই একটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। আর এখন মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ অনেক কিছু তৈরি করেছি। অত কথা বলতে গেলে আরও অনেক সময় যাবে।
সাংবাদিকরা পেনশনের দাবি জানালে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জাতীয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএফইউজে শেখ হাসিনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট