Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যবসার স্বার্থে হরতাল-অবরোধ চায় না এফবিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৯

ঢাকা: বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে হরতাল, অবরোধসহ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর যেকোনো অসহিষ্ণু রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানায় তারা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকট, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে উৎপাদন হ্রাস এবং বৈদেশিক রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতি, যা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও নাজুক করে তুলছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে হরতাল, অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে। এর প্রভাব ইতোমধ্যে পণ্যের বাজার মূল্যের ওপর এবং রফতানির ওপরও পড়ছে। নির্ধারিত সময়ে পণ্য জাহাজীকরণ করতে না পারলে ক্রয়াদেশ বাতিলের ঝুঁকিতে পড়বেন উদ্যোক্তারা। সেইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সকল পণ্যসামগ্রীর উর্ধ্বমূল্যের প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হরতাল, অবরোধ কর্মসূচির কারণে বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাবে। ফলে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। অন্যদিকে, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়বে, যা কখনই কাম্য নয়। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেড়ে যাবে। নতুন কর্মসংস্থানের পথ রুদ্ধ হবে।

অভিজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একদিন হরতাল বা অবরোধে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। হরতাল, অবরোধের মত অসহিষ্ণু কর্মসূচি চলতে থাকলে বাংলাদেশের মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতি এর ভার সইতে পারবে না। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা হরতাল, অবরোধ ও সহিংস কোনো কর্মসূচি চান না। তারা চান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কারণ, এটা ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাই সাধারণ মানুষ ও অর্থনীতির বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে হরতাল/অবরোধের মতো অসহিষ্ণু কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলো ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

অবরোধ এফবিসিসিআই হরতাল

বিজ্ঞাপন

‘মানুষ অবদান মনে রাখে না’
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৬

আরো

সম্পর্কিত খবর