‘বিশ্বায়নের যুগে উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি’
১৭ মে ২০১৮ ১৭:০৩ | আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ২০:০৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সমাজ, দেশ ও বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে, বলে মন্তব্য করেছেন ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৮’ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের সব ক্ষেত্রেই এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে দেশ ও সমাজ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।’
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে তথ্য ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে তথ্য ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। বেতার যন্ত্র, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, অনলাইন সেবা, বিমান কিংবা জাহাজে ভ্রমণ সর্বত্রই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।’
‘এ প্রযুক্তির বদৌলতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো এখন ঘরে বসেই পাচ্ছেন। তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতি হয়েছে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে’ বলেও জানান তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।
দিবসটির এইবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ইনঅ্যাবেলিং দ্য পজিটিভ ইউজ অব আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ফর অল’ বা সবার জন্য ইতিবাচকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকিমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়। এ বছর ছিল আইটিইউ-এর ১৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
এ ছাড়াও বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এসও/এমআই