Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৩১ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৪

মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী

ঢাকা: বান্দরবানে চলছে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব মাহা ওয়াগোয়াই পোয়েঃ ও প্রবারণা পূর্ণিমা। বান্দরবান কালাপাড়া স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনায় হাজার হাজার ভক্ত ও অনুসারীদের সঙ্গে এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবান শহরের কালাপাড়া স্বর্ণমন্দিরে মাহা ওয়াগোয়াই পোয়েঃ ও প্রবারণা পূর্ণিমার দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এদিন হাজারও ভক্তের সঙ্গে পার্বত্যমন্ত্রীও বন্দনায় অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে পঞ্চশীল, অষ্টশীল, দেশনা, দানীয় সামগ্রী বিতরণ, বৌদ্ধ ধ্বজ উত্তোলন ও হাজারও প্রদীপ প্রজ্বালনে অংশ নেওয়ার পর চুলামণী জাদীর উদ্দেশে ফানুসও উৎসর্গ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ উৎসবের মাধ্যমে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বন্দনা করা হয়। বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রতিটি মানুষের মনে সুখ বয়ে আনার প্রার্থনা করা হয়। প্রাণের মিলনমেলা এই উৎসবের মাধ্যমে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু সত্য, তারই বন্দনা করা হয়। মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে ওয়াগ্যোই মিলনমেলায় সবাইকে সমবেত থাকার আহ্বানও জানানো হয় প্রার্থনায়।

আতশবাজি, রঙ-বেরঙের বর্ণিল ফানুসের ঝলকানি আর ময়ুরপঙ্খীর আদলে তৈরি মাহারথ টানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উদ্‌যাপনে মারমা সম্প্রদায়রা মেতে ওঠে। উৎসবে বর্ণিল ফানুস ওড়ানো হয়েছে, জ্বালানো হয়েছে হাজারও মানুষের হাজারও মোমবাতি। রাতের আকাশে ছিল আতশবাজির ঝলকানি, মন্দিরে ছোয়াইং ও অর্থ দান এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।

বিজ্ঞাপন

পার্বত্যমন্ত্রী ছাড়াও এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, বান্দরবানের পৌর মেয়র শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বান্দরবান হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মারমা ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক, সদর উপজেলার কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারও নারী-পুরুষ।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও বান্দরবান জেলাজুড়ে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা, ছিল নানা আয়োজন। সুস্বাদু মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যস্ত ছিল মারমা সম্প্রদায়।

আষাঢ়ের পূর্ণিমার পর থেকে তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে শুরু ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে। প্রতি বছর পূর্ণিমার এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পালন করে প্রবরণা পূর্ণিমা, আর প্রবরণা পূর্ণিমাতে মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর সোমবার সকাল থেকে মহা মঙ্গল রথযাত্রায় অংশ নিয়ে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার, উজানী পাড়া বৌদ্ধ বিহারে সাজ সাজ রব ও উৎসবে মুখরিত হয়ে ওঠে ঐতিহ্যবাহী এ ধর্মীয় উৎসব।

সারাবাংলা/টিআর

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর