খাজা টাওয়ারে সেফটি প্ল্যান ছিল না: ফায়ার ডিজি
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০১:১৬ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০২:০২
ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে আগুনে পুড়েছে খাজা টাওয়ার। ১৪ তলা ওই ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে খাজা টাওয়ারের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বিকেল ৫টার কিছু আগে আগুন লাগে ওই ভবনে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে ডিজি জানান।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, এখনো ফ্লেম আছে। কারণ এই ভবনে ব্যাটারি আছে, স্টোরস, ক্যাবল, সুইচ, আইসোলেশন ফোম প্রভৃতি রয়েছে। ১২ ও ১৩ তলা ইন্টেরিয়রে খুব সুসজ্জিত। এগুলো আগুনের বিশেষ উপাদান। এ কারণে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে নির্বাপণ করতে সময় লাগবে।
আরও পড়ুন- সন্ধ্যা থেকে নিয়ন্ত্রণে খাজা টাওয়ারের আগুন, চলছে নেভানোর কাজ
আগুনের সূত্রপাত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, আগুন কোথা থেকে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে দুটি ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন চতুর্থ তলা থেকে ৯, ১০ ও ১১ তলায় আগুন ছড়িয়েছে। আবার কেউ বলছেন, ১১ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা তদন্ত করব। তদন্ত শেষে বলা যাবে কোথা থেকে এবং কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়তো আগুন লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আরও বলেন, এ এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টহল গাড়ি ছিল। প্রথম গাড়ি হিসেবে টহল গাড়িটি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর একে একে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক তিনটি সর্বোচ্চ টিটিএল ব্যবহার করা হয়েছে। দেড় শতাধিক ফায়ার ফাইটার এখানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসারসহ সবাই আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।
উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ফায়ারের ডিজি বলেন, (বিকেল) ৫টা ৭ মিনিট থেকে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়, তখন আগুন বাইরে তেমন একটা ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে (কন্ট্রোলে) চলে আসে। কিন্তু একজনকে উদ্ধার করতে অনেকটা সময় লাগে। এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে উদ্ধার করেছি। দুজন লাফিয়ে পড়েছিলেন, তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে আমরা একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি।
ভেতরে আরও কেউ আছে কি না— জানতে চাইলে ডিজি মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের জানামতে এখন আর কেউ নেই। তবুও আমরা সার্চ করছি। কারণ একজন নিখোঁজের খবর আমাদের কাছে আছে। নিচতলা থেকে প্রতিটি ফ্লোরে সার্চ করা হবে।
আরও পড়ুন-
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ডাটা সেন্টার, ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন
খাজা টাওয়ারে আগুন, ৯ তলা থেকে নামতে গিয়ে তরুণীর মৃত্যু
খাজা টাওয়ারে আগুনে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ: ফায়ার সার্ভিস
আগুনে ৬০০ আইএসপি বন্ধ, ইন্টারনেট ধীরগতি থাকতে পারে ১ সপ্তাহ
খাজা টাওয়ারে আগুন: আটকেপড়াদের উদ্ধারে সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী
মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ১৩ তলায় আগুন, ঘটনাস্থলে ফায়ারের ৮ ইউনিট
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর