বিদ্যুৎ-ওষুধের অভাবে গাজায় এক তৃতীয়াংশ হাসপাতাল বন্ধ
২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১১:২১ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১১:২৩
গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। এতে করে চলমান যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে গাজায় এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ইসররাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং হামাসের বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে হত্যা করেছেন। হামাসের পক্ষ থেকে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া সত্ত্বেও তারা হামলা কমবে না।
এদিকে জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলো গাজায় স্থায়ী ও নিরাপদ মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, তারা ‘চাপের মধ্যে রয়েছেন’।
গাজায় বিদ্যুৎ, ওষুধ ও কর্মীদের অভাবের কারণে এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালের সেবা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির সংকট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিদশিসহ ২২২ জন ইসরাইলিক জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর মধ্যে দুই মার্কিন নাগরিকসহ ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
আর ইসরাইলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে গত ২৪ ঘণ্টা ছিল সবচেয়ে মারাত্বক। এই সময় ইসরাইলের বিমান হামলায় ৭০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০৫ জন শিশু, ১৭৩ জন নারী ও ৭৮ জন বৃদ্ধ রয়েছেন। এতে করে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস