মধ্যপ্রাচ্যে হামলার শিকার হলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালাবে
২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪০ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৯
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনারা হামলার মুখোমুখি হলে ওয়াশিংটনের পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েইলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর মধ্যপ্রচ্যজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং হামাসের সেঙ্গ ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধ এই অঞ্চলে আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
রোববার (২২ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ব্লিংকেন এ কথা বলেন।
ইরান তার প্রক্সি বাহিনী ব্যবহার করে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত করতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যদি মার্কিন সেনারা হামলার মুখোমুখি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত আছে।
ব্লিংকেন বলেন, ‘আমাদের সেনাদেরকে রক্ষা করতে এবং প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরি পাঠানোসহ অন্যান্য সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক ইসরায়েল সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ হলে গাজা দখলের কোনো ইচ্ছা নেই ইসরায়েলের।’ তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে আগের পরিস্থিতি আর থাকবে না।
‘আপনি (ইসরায়েল) গাজা থেকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ক্রমাগত হুমকির মুখে থাকতে পারেন না। তাই হামাস যাতে এমন হামলা আর চালাতে না পারে, তার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে গাজায় আবার ইসরায়েলি শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ইসরায়েল এটা চায় না, তাদের সে উদ্দেশ্যও নেই।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে করে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় স্থল অভিযানের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে। তবে ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান আদৌ চালাবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র
সারাবাংলা/ইআ