‘আইএমএফ’র ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি না পাওয়ার কোনো কারণ নেই’
২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৮
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইএমএফ’র ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ যে তারিখে প্রদানের কথা বলা আছে সংস্থাটি সেই তারিখেই পেমেন্ট করবে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
রোববার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমা পড়া চাঁদার টাকা বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ভারত থেকে অনেক খাদ্যদ্রব্য আসতো। এখন খাদ্যদ্রব্য আসে না, কোনো ডিমও আসে না, কোনো কিছু আসে না। আগে তারা দিতে পারত, এখন দিতে পারে না। এই যদি অবস্থা হয়, আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা কিছুদিন সহ্য করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছি।’
রিজার্ভ বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। এটাকে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন আছে ১৯ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শেরাটন হোটেলে একদিন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম সেখানে জোর করে আমাকে বলা হচ্ছিল, আপনি ব্যাংক সুদের হার (সুদহার) নয়-ছয় করতে পারবেন না। যা যা বলার তা বলেছিল। আপনারা নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেন, নয়-ছয় যদি না থাকতো তাহলে আজ আমাদের ব্যাংকিং খাত খুঁজে পেতেন না। দেশের মানুষকে, মানুষের খাবার-দাবারের কিছু ব্যবস্থা থাকতো না।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবারের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। সরকারকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে রাজস্ব, সরকারি কাজ এবং দেশের অর্থনীতি চালাতে হবে। এ কাজটি সরকার করে যাচ্ছে। খাবার-দাবারের সংকট থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাবার নিয়ে এক সময় অনেক টানাপোড়েন ছিল। এখন আর সে অবস্থা নেই, প্রচুর খাদ্য আছে। এর কারণ হলো- দেশের বিজ্ঞানী যারা আছেন, কৃষির ওপরে কাজ করেন, তাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। আগে আমরা যে আকার নিয়ে অর্থনীতির বিস্তার ঘটাচ্ছিলাম সেখান অনেক দূর আসছি। এখন খাদ্যশস্য উৎপাদন পাঁচ গুণ বেড়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, নয়-ছয় সুদহারের সিদ্ধান্ত ছিল রাজনৈতিক এবং ভুল সিদ্ধান্ত! এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতির প্রতিটি কম্পোনেন্ট ফেক্সিবল, এটা ফিক্সড কিছুই না। কোনো দেশ পাঁচ বছরের অর্থনীতির প্ল্যান একবারে করে না। দুই বছরেও একবারে করে না, বছরভিত্তিক করে। গভর্নর মহোদয় যদি মনে করেন যে, এটা ঠিক হয় নাই, এটা উনার ব্যাপার। ব্যক্তি হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা আছে, ভাবনা আছে। সেই ভাবনা মোতাবেক তিনি এগুবেন। হয়তো উনি ভাবছেন, এটা যদি করা হতো, হয়তো ভালো হতো। কিন্তু কোনটা ভালো হতো কেউ বলতে পারবে না।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম