‘গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ পুলিশ’
২১ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২২
ঢাকা: ‘শেখ হাসিনার হাতে লালিত, পালিত পুলিশ বাহিনী গণতন্ত্র, সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন তথা জনগণের বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ’- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্ যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিন এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একদিকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন, আবার অন্যদিকে তারা দিচ্ছেন সহিংসতার হুমকি। বিএনপির কর্মসূচি মোকাবিলার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তারা আওয়াজ তুলছেন। এই সমস্ত হুমকি কি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব লক্ষণ? পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন—২৮ অক্টোবর সহিংতা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিএনপির সমাবেশের আগেই পুলিশের এই হুঁশিয়ারি আবারও প্রমাণ করলো—শেখ হাসিনার হাতে লালিত পালিত পুলিশ বাহিনী গণতন্ত্র, সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন তথা জনগণের বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারছি—ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘন ঘন বৈঠক করছেন কীভাবে বিএনপির কর্মসূচিকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করা যায়। ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের হিড়িক থামছে না, আরও জোরদার করা হয়েছে। সুতরাং এটি অত্যন্ত সুষ্পষ্ট যে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে দলবাজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের ওপর কী পরিমাণ নৃশংসতা চালাবে। আবারও ভোটের আগের রাত্রে নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলতে তারা সর্বোচ্চ রক্তাক্ত সহিংসতায় লিপ্ত থাকবে।’
এরইমধ্যে দলবাজ প্রশাসনের মনোরঞ্জনের জন্য জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের উৎকোচ দেওয়া শুরু হয়েছে। ডিসি ও ইউএনওদের ২৬১টি বিলাসবহুল গাড়ি (ষ্পোর্টস ইউটিলিটি) কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৬১টি ডিসিদের জন্য এবং বাকীগুলো ইউএনও—দের জন্য। ডলার সংকট ও প্রচণ্ড রিজার্ভ ঘাটতির মধ্যে গাড়ি কেনার উদ্যোগ শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করার এক মোক্ষম ঘুষ হিসেবে দেখছে জনগণ।
সারাবাংলা/এজেড/একে