অর্ধেক মেয়াদেই নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণ
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১৬ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৪
ঢাকা: তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেও মেয়াদ অর্ধেক পার হতে না হতেই ‘জনস্বার্থে’ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সরকার।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০ মাস কাজ করেছেন তিনি। মেয়াদের ১৬ মাস আগেই তাকে অপসারণ করা হলো পদ থেকে।
মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ জনস্বার্থে বাতিল করা হলো।
আরও পড়ুন- নদী দখলের পেছনে মন্ত্রীর হাত— অভিযোগ নদী কমিশন চেয়ারম্যানের
দায়িত্ব গ্রণের পর থেকেই নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে নানা সময়ে আলোচনায় এসেছেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী। সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি মেঘনা নদী দখল হয়ে যাওয়ার পেছনে এক নারী মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন। বলেন, হায়েনারা দলবেঁধে মেঘনায় হামলে পড়েছে। মেঘনা থেকে আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। এদের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
চুক্তি বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মনজুর আহমেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরিয়ে দেওয়ার নির্দিষ্ট কারণ আমি জানি না। কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কিংবা সেই চুক্তি বাতিল করার এখতিয়ার সরকারের আছে।’
বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া তাকে অপসারণের পেছনে ভূমিকা রেখে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি আমি বলতে পারব না। তবে দখলদারদের নিয়ে আমি যে মন্তব্যগুলো করেছি, সেগুলো সব সঠিক ছিল এবং এখনো সঠিক আছে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনার যত বালুখেকো, জলদস্যু, দখলকারী, দূষণকারী; আজ তাদের বিজয় হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ায় তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর ১৬ মাস আগেই সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করল সরকার।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন টপ নিউজ নদী রক্ষা কমিশন মনজুর আহমেদ চৌধুরী