Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইউনূসের পদত্যাগ চেয়ে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিকদের ৮ দফা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১২ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪৫

ঢাকা: অনিয়ম ও নির্যাতনের অভিযোগে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক-কর্মচারীরা।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এসময় সংগঠনের সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী বাদল এবং ইউনি গ্লোবালের সভাপতি মো. আজাদ আলী খান উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশের দারিদ্রতা ও বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত দক্ষ শ্রমিকদের শোষণ করছেন। বাংলাদেশ শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শ্রমিকদের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও অত্যাচার করে চলেছেন এবং শ্রমিকদের আর্থিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি শ্রমিক আইন বাদ দিয়ে নিজের মনগড়া নীতিমালা তৈরি করে শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন, যা ইতিমধ্যে শ্রম আদালত কর্তৃক প্রমাণিত।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরও বলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমরা জানতাম যে, প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একমাত্র কাজ হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংকের আইটি হিসাব খাতসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা। শুরুতেই এটি গ্রামীণ ব্যাংকের আইটি প্রকল্পের অধীনে ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তি স্বার্থে সেই প্রকল্পকে আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপদান করেন এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পদ অন্যায়ভাবে দখল করে আছেন। প্রতিষ্ঠানটি নট ফর প্রফিট হিসেবে কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা মোতাবেক নিবন্ধিত হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানটির কারে কোনো প্রকার মালিকানা নেই। তাহলে কোন স্বার্থে? কিসের লাভে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদ দখল করে আছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে তারা ৮ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে:

১। গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিকদের গ্রামীণ ব্যাংকের স্থায়ী শ্রমিকের মর্যাদা দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপ কামনা করছি।

২। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে সব শ্রমিকের বেতন স্কেল সংশোধনপূর্বক বেতন রিভিউ করে (পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ) বর্ধিত বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত ও অন্যান্য ভাতার বকেয়া মজুরিসহ প্রত্যেক শ্রমিককে সমুদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

৩। বেতন স্কেল সংশোধন ও রিভিউ করে বার্ষিক অর্জিত ছুটির বেতন বাৎসরিক ২০ দিন হারে মোট বেতনের সমপরিমাণ অনুযায়ী বকেয়াসহ পুরো অর্থ প্রদান করতে হবে।

৪. অন্যায়ভাবে নোটিশ ছাড়া বিগত বছরে না দেয়া বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে এবং শুরু থেকে বার্ষিক ৫% হারে প্রতি বছরের ইনক্রিমেন্ট বাড়িয়ে বকেয়াসহ সব অর্থ দিতে হবে।

৫। শুরু থেকে ক্ষতিপূরণজনিত সাপ্তাহিক ছুটির বকেয়া বেতন ও ভাতার সমুদয় অর্থ প্রদান করতে হবে। শ্রম আইন মোতাবেক অধিকাল ভাতা (ওয়ার টাইম হিসেব করে) সমুদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

৬। পুনরায় অডিট করে শ্রম আইন মোতাবেক ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুরু থেকে বকেয়াসহ প্রদান করতে হবে।

৭। ট্রেড ইউনিয়ন করার দায়ে চাকরিচ্যুত আটজন শ্রমিক (মো. বদরুল আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. আব্দুল গফুর, ইলিয়াস কাঞ্চন, মো. শাহ আলম, মো. জিল্লুর রহমান, মো. হোসাইন আহম্মদ ও এমরানুল হক) চাকরি ফেরত দিতে হবে।

৮। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অসময়ে কর্মী ছাটাই করা হলে প্রদেয় সুবিধার অধিক ক্ষতিপূরণ বাবদ কমপক্ষে ১০ বছরের ক্ষতিমূল্য প্রদান করতে হবে এবং অন্যান্য পাওনা থাকলে তা দিতে হবে। সেই সাথে গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের লক্ষ কর্মীদের অধিগ্রহণ করলে স্থায়ী-মর্যাদা দিয়ে নিতে হবে।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনইউ

৮ দফা গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স চেয়ারম্যান টপ নিউজ ড. ইউনূস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর