গাজায় ফুরিয়ে আসছে খাদ্যের মজুদ: ডব্লিউএফপি
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪২ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৪
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। বিদ্যুৎ, পানি এবং ওষুধসহ জরুরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতে গাজার অভ্যন্তরে খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। খবর সিএনএন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) কায়রো থেকে একটি সাক্ষাৎকারে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেশার সিএনএন’কে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজায় ডব্লিউএফপি’র খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। এছাড়া নতুন করে আরও খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না সংস্থাটি।
করিন ফ্লেশার বলেন, ১৩ লাখ মানুষকে দুই সপ্তাহ খাওয়ানোর জন্য গাজা সীমান্তে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, যা যাওয়ার (গাজায়) জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দলটি এখনো নিরাপদে গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। যাতে তারা প্রবেশ করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারিনি। আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করিডোর থাকতে হবে। (আমাদের) সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে… মানুষ সত্যিই ক্ষুধার্ত।’
গাজায় প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, রুটি এবং নগদ অর্থ প্রদান করেছে ডব্লিউএফপি। ফ্লেশার বলেন, ‘চরম অস্থিরতার মধ্যে দলটি ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন— যেখানে খাবার নেই, শোবার জায়গা নেই, পানি নেই, বাথরুম নেই ও বিদ্যুৎ নেই।’
এদিকে চলমান যুদ্ধে গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৯ হাজার আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭০০ শিশু রয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এদিকে গত এক সপ্তাহে হামাসের প্রায় ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি নাগরিক আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে হারেৎজ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের ২৭৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১২৬ জনের বেশি সেনাকে অপহরণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি ও ওষুধসহ সব ধরনের জরুরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এদিন অকস্মিক ইসরাইলে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনিদের উপর গত কয়েক দশক ধরে চালানো পাশবিকতার জবাব দিতে ইসরাইলের উপর এই হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস।
আরও পড়ুন:
- হামাসের রাজনৈতিক প্রধানের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে: ব্লিঙ্কেন
- বক্তব্যকালে গাজা ইস্যুতে বিব্রত বাইডেন
- ইসরাইলের বোমায় ৭০০ শিশু নিহত, চলছে আরও বড় হামলার প্রস্তুতি
- গাজায় হামলা বন্ধ না হলে সংঘাত ছড়াবে মধ্যপ্রাচ্যে: ইরান
- হামলায় হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধান নিহত, দাবি ইসরাইলের
- ‘গাজার জনগণকে জোরপূর্বক স্থানান্তর যুদ্ধাপরাধ’
- গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল: ফিলিস্তিন
- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ: ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
- সময় এলে আমরা পদক্ষেপ নেব: হিজবুল্লাহ
- ২৪ ঘণ্টায় গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরার নির্দেশ ইসরাইলের
- জিম্মিদের মুক্তি না দিলে বিদ্যুৎ-পানি পাবে না গাজা: ইসরাইল
- হামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ১ হাজার এক্স অ্যাকাউন্ট বাতিল
- ইসরাইলে গুপ্ত হামলা: হামাসের কে এই দেইফ
- মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার ফল ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ: পুতিন
- ইসরাইলের হামলায় ৩ সাংবাদিক নিহত
- হামাসের হামলায় ১২৩ ইসরাইলি সেনা নিহত
- ১৫০০ হামাস যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার: ইসরাইল
- আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করল ইসরাইল
- ইসরাইলে হামলার কারণ জানাল হামাস
- হামাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা
- ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুঁড়েছে হামাস
সারাবাংলা/এনএস