Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবশেষে চালু ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজ, এস্কেলেটর বসানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৯ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২৪

ঢাকা: দেড় বছর পর চালু হল ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এই ওভারব্রিজ। দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পথচারীদের চলাচলের জন্যে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বা এস্কেলেটরের দাবি তুলেছেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারীরা। সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি হকারদের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর মে মাসে ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি ১৩২ ফিট লম্বা ও প্রায় ১৮ ফিট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশাপাশের চিত্র উপভোগ করতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে।

ফুটওভার ব্যবহারকারী একজন পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়াতে ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রশস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে অধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।

জুয়েল নামের আরেক পথচারী বলেন, ফার্মগেট একটি ব্যস্ততম এলাকা। এই ফুটওভার ব্রিজটি বহু মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতেও ছিলেন পথচারীরা। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগলেও বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

বিজ্ঞাপন

ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হলেও পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ এরও সুবিধা রাখা হবে।

এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে পথচারী ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আপনার কাছে রিকোয়েস্ট থাকবে, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অন্ততপক্ষে টয়লেটের ব্যবস্থা রাখবেন যাতে পথচারীদের বিড়ম্বনায় পৌঁছতে না হয়।

তিনি বলেন, জনগনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে যানযট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তাদের (ট্রাফিক পুলিশ) কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। তাদের যেন অসুবিধা না হয় এ জন্যই ছোট ছোট পুলিশ বক্স তৈরি করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় যেটা বলেছেন, সেগুলো (পুলিশ বক্স) পাল্টিয়ে তিনি দৃষ্টিনন্দন পুলিশ বক্স তৈরি করে দেবেন। এটাই তিনি বলতে চেয়েছেন। আমিও ওনাকে (মেয়র) রিকোয়েস্ট করছি, যতগুলো বক্স রয়েছে, সেখানে আপনি এই ব্যবস্থা নেবেন।

এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম রাজধানীর পুলিশ বক্সগুলোকে আধুনিকায়ন ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

টপ নিউজ ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর