Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নৌকাবাইচে উল্লাসে মাতল সাপাহারবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৭

নওগাঁ: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।থেমে থেমে হর্ষধ্বনিতে মুখরিত বিল পাড়ের চারধার। বইঠার একটানা ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে কোরাস শোনা যায় ‘হেইও রে, হেইও, বৈঠা মাড়ো হেইও’।

আর এভাবেই একেকটি নৌকা ছুটে চলছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এই নৌকাবাইচের আয়োজন করে। এদিন বিলের দুই পাড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষের ঢল নামে।

বিজ্ঞাপন

এসময় হর্ষধ্বনি দিয়ে দলগুলোকে উৎসাহিত করতে থাকেন দর্শকরা। আনন্দ উল্লাসে পুরো এলাকা হয়ে পড়ে মুখরিত। প্রতিযোগিতায় নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশেপাশের ছোট-বড় মিলে প্রায় ৮টি নৌকা অংশ নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে দুপুরের পর থেকেই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জবই বিলের উৎসুক মানুষ জড়ো হতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জবই বিলের মাহিল প্রান্ত থেকে নৌকাবাইচ শুরু হয়ে মাছ চত্বর এলাকায় শেষ হয়। নৌকাবাইচের দূরত্ব ছিল প্রায় এক কিলোমিটার। এ সময় বিলের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়কের দুই পাশে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তাদের আনন্দ-উল্লাসে মুখরিত হয় বিলের চারপাশ।

নৌকাবাইচ দেখতে আসা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘বাইচ দেখতি আমি দুপর ১টার মধ্য এখানে আইছি। বাইচ দেইখে খুব আনন্দ পাইছি।’

আলতাফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, নৌকা বাইচ দেখে খুবই আনন্দ পেয়েছি।

প্রতিযোগিতা দেখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন শরিফুল হক। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচতো এখন বিলুপ্তির পথে। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘জবই বিল কেন্দ্রীক পর্যটন বিকাশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিনিয়ত বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরই একটি অংশ জবই বিলে নৌকাবাইচ। এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় আবহমান বাংলার চিরায়ত চিত্র ধরে রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে জবই বিল আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এতে স্থানীয়দের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন আসবে।’

বিজ্ঞাপন

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আবহমান গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখতে ও জবই বিলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যর অংশ এই নৌকাবাইচ। নৌকাকবাইচকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের মাঝে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে।’ আগামীতে আরো বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ নৌকাবাইচ সাপাহারবাসী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর