ধর্ষণ মামলায় আপস-মীমাংসার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তাকে জামিন
১০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৩ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৪
বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক নারী কর্মকর্তার করা বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় আপস-মীমাংসার শর্তে দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (৪০) জামিন পেয়েছে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত রয়েছেন।
সমনের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। বিচারক শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির।
এর আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, ববির ওই নারী কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে তালাক দেন। এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোতে ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী ওই নারীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতে আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাকে মারধর করা হয়।
একই বছর ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। এরপর ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন। কয়েকদিন পর ফোনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিয়ের কথা স্বপ্ন মনে করে ভুলে যেতে বলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। ওই সময় তিনি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এরপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। গত ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিশ পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
সারাবাংলা/একে