শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন আজ
৭ অক্টোবর ২০২৩ ০০:১০ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২৩ ০২:৩৫
ঢাকা: উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার সংযোগ’ স্লোগান নিয়ে টার্মিনালটির ‘সফট ওপেনিং’ তথা আংশিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালুর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন এই টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করবেন। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটি নতুন এই টার্মিনালের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম মাইলফলক। নতুন টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ সফট লঞ্চিংয়ের জন্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার থেকে এয়ারলাইন্সগুলো টার্মিনালের নতুন পার্কিং পে ব্যবহার করতে পারবে।
সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিবারেশনের পর তৃতীয় টার্মিনালটি আগামী বছরের শেষে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। বলেন, নতুন টার্মিনালটি সব বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পাল্টে দেবে। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোসহ থার্ড টার্মিনালের ফ্লোর ও সিলিংয়ে নজরকাড়া প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই পরিশীলিত। যাত্রীরা নতুন টার্মিনালের বিশ্বমানের সুবিধার প্রশংসা করবেন, যা আমরা এখানে আগে কখনো পাইনি।
বেবিচক জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গ চালুর পর শাহজালাল বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দাঁড়াবে দুই কোটি ৪০ লাখে, যা বর্তমানে মাত্র ৮০ লাখ। অর্থাৎ নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে যাত্রী হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়ে হবে তিন গুণ।
মোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৃতীয় টার্মিনালটির ফ্লোর স্পেস দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এতে রয়েছে ১৭৭টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন ডেস্ক ও ৬৪টি আগমন ইমিগ্রেশন ডেস্ক।
তৃতীয় টার্মিনালের ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট আগামী বছরের মধ্যে চালু হবে। পরবর্তী ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে পরে। ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফট পার্কিং এরিয়া ও অ্যাপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেন যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে সক্ষম হয়। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এ ছাড়া আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এর মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। বাকি টাকা অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
সারাবাংলা/টিআর
টপ নিউজ তৃতীয় টার্মিনাল তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালাল বিমানবন্দর শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল