হাজিরা দিতে এসে আদালতেই মোটরসাইকেল চুরি
৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪৫ | আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির মামলার হাজিরা দিতে এসে আদালতেই এই চক্র মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামিরা হলেন— মো. রিপন (৩২), আবদুল কাদের জিলানী অভি (২৬) ও সজিবুল ইসলাম (২১)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির সারাবাংলাকে জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার মেরিনার্স রোডে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা রিপনকে গ্রেফতার করা হয় হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা থেকে অভি ও মহেশখালী থেকে সজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় রিপন থেকে একটি, অভি থেকে আটটি ও সজিব থেকে চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মূলত রিপনই মোটরসাইকেল চুরি করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কম দামে বিক্রি করে দিতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি ও অভির বিরুদ্ধে পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরিসহ মারামারির মামলা আছে। তাদের আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘রিপনের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির অনেক মামলা আছে। তিনি যতবারই ওই মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা দিতে আসতেন সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে কুমিল্লায় নিয়ে অভির কাছে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিতেন।’
‘এরপর কুমিল্লা থেকে আসার পথে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে থাকা বিভিন্ন বিক্রয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল চুরি করে মহেশখালী নিয়ে সজিবের কাছে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বর্ডার ক্রস বলে বিক্রি করতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহেশখালীতে তার শ্বশুর বাড়ি। সেখান থেকে আবার আসার পথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, কেরানীহাট ও পটিয়ার শান্তিরহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আবার কুমিল্লায় বিক্রি করতেন। তার কাছ থেকে আমরা একটি মাস্টার চাবি পেয়েছি। মূলত যেসব মোটরসাইকেল কম দামি ও লক দুর্বল সেগুলোই তার টার্গেট ছিল।’
সারাবাংলা/আইসি/এনএস