Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেরা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:২৯

ঢাকা: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেরা। এই কমিশনের আওতায় ৯০০’র বেশি নির্বাচন হয়েছে। সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’

বুধবার (৪ অক্টোবর) নগরীর নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

ভার্চুয়ালি ৬৪ জেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিশ্চিত করা ও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে জোর দিয়েছেন বক্তারা। একইসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনেরও তাগিদ দেন তারা।

ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘বর্তমান কমিশন বিজ্ঞ অথচ বিএনপি জামায়াত কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছে। জামায়াতকে বহু আগে থেকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা নির্বাচন কমিশন ও সরকার মানে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশনকে এখন পদত্যাগ করতে বলেছে। আমার প্রশ্ন, কমিশন কেন পদত্যাগ করবে?’

তিনি বলেন, ‘সরকারের জন্য এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জ। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব এবার তার প্রমাণ করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচন যে রকমই হোক না কেন, এবারের নির্বাচন আবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনকে এবার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে প্রমাণ করতে হবে যে, দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সমালোচনা করে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিএনপি ও বদিউল আলম মজুমদারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বিএনপির সুরে কথা বলেন। বিএনপি ও জামায়াত গণতান্ত্রকে বিশ্বাস করে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে চাপ থাকলেও এই সময় নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে বিএনপি জামায়াতের কারণে হয়েছে। নির্বাচন অংশ ও বর্জন তাদের অধিকার। কিন্তু বাধা দেওয়ার অধিকার তাদের নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দল, বিরধীদল, ভোটার ও ইসি ঠিক হলেই ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। একা ইসির পক্ষে ভোট অবাধ করা সম্ভব নয়।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর