অর্থপাচার মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব
৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৮ | আপডেট: ৩ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৯
ঢাকা : অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আগামী ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা চিঠিতে ড. ইউনূসকে তলব করা হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ চিঠি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২৫ দশমিক ২২ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। আগামী ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় উপর্যুক্ত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকার্যে সহযোগিতা করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন বলে ড. ইউনূসকে ডেকেছেন। আসা না আসা সেটি তার ব্যাপার।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় মামলা হবে কি, হবে না। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে তিনি ডাকবেন। তিনি যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকেই ডাকবেন। এটি তার নিজস্ব বিষয়। তলবের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আমি জেনেছি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই তাকে ডেকেছেন। এলে ভালো, না এলে সেটি তার ব্যাপার।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘তাকে হয়রানি কেন করা হবে? শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদফতর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে দুদক তদন্ত করেছে এবং মামলা হয়েছে। এটিকে হয়রানি কেন বলছেন?’
জানা গেছে, গত ৩০ মে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ড. ইউনূস ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ডের সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
সারাবাংলা/জিএস/একে