আরেকটি শাটডাউনের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২২ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪১
আরেকটি শাটডাউনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। দেশটির আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের বিরোধীতার মুখে ডেমোক্র্যাট সরকারের বাজেট পাস নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ বাজটে পাস না হলে ব্যয় নির্বাহ নিয়ে সংকটে পড়বে দেশটি। গত এক দশকে এটি চতুর্থ শাটডাউন হতে পারে। এ কারণে বিমান ভ্রমণ থেকে শুরু করে জাতীয় উদ্যান এবং বিবাহের লাইসেন্সসহ সবকিছু সেবাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারীদের বেতন ছাড়াই ছুটিতে পাঠানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে কঠোর বিরোধীতার মুখোমুখি হতে হয় ডেমোক্র্যাট সদস্যদের। রিপাবলিকানরা খুব কম পার্থক্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হাউস নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের কার্যক্রম পরিচালার জন্য বিলটি দুই পক্ষের সমর্থন লাগবে। তারপর তা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধে আর মার্কিন অর্থায়ন না করার আহ্বানসহ ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য কমানোর দাবি নিয়ে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে আলোচনা করে রিপাবলিকানরা।
আইনপ্রণেতারা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে শনিবার মধ্যরাত থেকে মার্কিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে।
তবে হোয়াইট হাউসের ম্যানেজমেন্ট ও বাজেট অফিসের পরিচালক শালান্দা ইয়ং বলেন, শাটডাউন এড়ানোর এখনো সুযোগ আছে। এজন্য রিপাবলিকানদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো প্রয়োজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থবছরের জন্য কংগ্রেস বাজেট পাসে ব্যর্থ হলে শাটডাউন শুরু হতে পারে। আর এমনটি হলে, কোনো আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই চাকরি হারাতে পারেন কয়েক লাখ কর্মচারী।
মার্কিন সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সচল রাখতে গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বল্পমেয়াদে বিল পাসের চেষ্টা হয়েছিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধীতার কারণে বিলটি অনুমোদন পায়নি। বিলটির বিপক্ষে ২৩২ এবং পক্ষে ১৯৮টি ভোট পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০১৯ সালে সরকারে অচলাবস্থা বা শাটডাউন ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সারাবাংলা/এনএস