অক্টোবরে পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে ৬ ট্রেন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২২ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০৪
ঢাকা: পদ্মা সেতুর রেল লাইন দিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে যাত্রীসহ ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু দিয়ে যেসব ট্রেন চলবে তারমধ্যে রয়েছে, খুলনা-ঢাকা রুটের দু’টি আন্তনগর ট্রেন, সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢুকবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য ছয়টি ট্রেন ঠিক করে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। খুব দ্রুতই প্রস্তবনা অনুযায়ী চূড়ান্ত করা হবে।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা আন্তনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন। নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলে ট্রেন। সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে ট্রেনটি পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ওঠে। আর সেতু অতিক্রম করে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় ১১টা ৩৪ মিনিটে। সে হিসাবে সাত মিনিটেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ট্রেনটি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা করা ট্রেনে ছিলেন রেলপথবিষয়ক মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। তাদের নিয়েই পরে ট্রেনটি আবার ঢাকায় ফেরে।
গত বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও পদ্মা রেল সেতুর কাজ তখনো চলছিল। এই রেললাইন উদ্বোধনের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা আছে। ওই দিন এক সুধী সমাবেশে রেললাইনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করা হলেও পুরো রেল প্রকল্প শেষ হতে অবশ্য আরও দেরি হবে। আপাতত ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলেও প্রকল্পের আওতায় রেলপথ সংযুক্ত করবে যশোর পর্যন্ত পথ। পুরোটা ২০২৪ সালে জুনে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস