দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৪ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩১
দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। উড়ে গেছে টিনের ছাউনি, উপড়ে গেছে গাছপালা। ঘুর্ণিঝড়ে এসব এলাকায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর এই তিন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন ও নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে খাবারের ব্যবস্থা করেন দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো মধ্যে বিরামপুর দিওড় এলাকার বাঁশবাড়িয়া আশ্রয়ণসহ ২৮টি, নবাবগঞ্জ বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিক এবং হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আশ্রয়ণের ঘরে থাকা মমতা বেগম বলেন, এলাকায় কয়দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে বসে আছি। হঠাৎ করে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে আমার ঘরের টিন উড়ে গেছে। বারান্দার টিনগুলো উড়ে পাশের ঘরে ওপর পরে।
সাইদুল নামের একজন জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। পরিবারের কয়েকজন নিয়ে ঘরের ভেতর ছিলাম। হঠাৎ বাইরে ঝড় শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ঘরের চালাগুলো উড়ে যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুর জামান আসাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী দুদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম বলেন, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটিসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এত বান্ডিল টিন ও নগদ অর্থ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ