রানা প্লাজার ভবন নির্মাণে দুর্নীতি, তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭
ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজার ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৯ বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামের সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন। তবে এদিন তা শেষ হয়। এজন্য বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান আগামী ২৫ অক্টোবর অবশিষ্ট জবানবন্দি এবং জেরার তারিখ ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট মফিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন কর হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয়তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে আরও জানা যায়, নকশাবহির্ভূতভাবে নয়তলা ভবন নির্মাণ, সাভার পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে পোশাক কারখানা স্থাপন করার অনুমোদন ও গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করে আসামিরা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও দণ্ড বিধির ১০৯ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এই ঘটনায় রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তবে সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক মারা গেছেন। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও ফারজানা ইসলাম পলাতক রয়েছেন। সোহেল রানা কারাগারে আছেন। অপর ৬ আসামি জামিনে আছেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস