জেলা শিক্ষা অফিসার এখন প্রধান শিক্ষক!
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৬ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯
ঠাকুরগাঁও: খন্দকার মো. আলাউদ্দীন আল আজাদ। ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক)। তাকে বদলি করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চা শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন তিনি। আর এ কারণেই তাকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদ থেকে ‘শাস্তিমূলক বদলি’ করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক পদে। তবে বদলি আদেশের প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও তিনি এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি।
মাউশির আদেশ থেকে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট আলাউদ্দীন আল আজাদকে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার নিপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলির আদেশ জারি করা হয়। ২৯ আগস্টের মধ্যে সেখানে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি।
নিপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ‘তিনি এখনো এখানে যোগদান করেননি। তিনি তো জেলা শিক্ষা অফিসার ছিলেন। হয়তো অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একাধিক প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ওই শিক্ষা অফিসার ছিলেন দুর্নীতিপরায়ণ। এ কারণে তাকে অনেকের কাছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। তিনি দিনে অফিস করতেন না। তার অফিস সময় ছিল রাতের বেলা ও বন্ধের দিন। এসব বিষয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লে শেষ পর্যন্ত তাকে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে আলাউদ্দীন আল আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রংপুরের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক সফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি নতুন যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। তবে এই তথ্যটুকু জানি যে তিনি নতুন কর্মস্থলে এখনো যোগ দেননি।’
সারাবাংলা/পিটিএম