চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ মৃত্যু, আক্রান্ত ২২৪
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০১ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ জনে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১৭ জন সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি হাসপাতালে, ১৬ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে, ৩ জন চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং ১৩ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত আরও ১৩৫ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদনী আক্তার নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশু বুধবার রাতে মারা গেছে। নগরীর আগ্রাবাদ থেকে আসা ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরেই মারা গেছে। একই হাসপাতালে ভর্তির পরপরই বুধবার রাতে মারা গেছেন ৬৪ বছর বয়সী শামসুল হক নামে এক ব্যক্তি। তার ঠিকানা মীরসরাই উপজেলা উল্লেখ আছে।
উভয় রোগীর মৃত্যু ‘ডেঙ্গু এক্সপান্ডেড শক সিনড্রোমে’ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।
চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট ৮ হাজার ৫০০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৮ হাজার ৪৭ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
চলতি সেপ্টেম্বরের গত ২০ দিনে ২ হাজার ৭১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে, আগস্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, ৩ হাজার ১১ জন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন, জুনে ২৮৩ জন এবং জুলাইয়ে ২ হাজার ৩১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি সেপ্টেম্বরের গত ২০ দিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে মারা গেছে ৭১ জন। এদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী এবং শিশু-কিশোর মিলিয়ে ২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে পাঁচজন মারা গিয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ