ইরানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশের পথে ৫ মার্কিনি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৭ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৫
ইরানের রাজধানী তেহেরানের কারাগারে বন্দি থাকা পাঁচজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তাদের বাড়ি ফেরার পথে রয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা ইরানের ৬ বিলিয়ন ডলার দোহার ব্যাংকে পৌঁছানোর পর তারা নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। খবর বিবিসি।
তেহরান থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে চারজন পুরুষ ও একজন নারী কাতারের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। একইসঙ্গে তারা ইরানের নাগরিকও।
প্রথমে তারা মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন— সিয়ামক নামাজি (৫১), এই ব্যবসায়ী তেহরানের এভিন কারাগারে প্রায় আট বছর বন্দি ছিলেন। এমাদ শার্গী (৫৯), তিনিও একজন ব্যবসায়ী। এছাড়াও রয়েছেন পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ (৬৭), একইসঙ্গে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের নাগরিকদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগে কারাবন্দি করা হয়েছিল।
চুক্তি হওয়ার পর বন্দি মার্কিন নাগরিকদের কারাগার থেকে তেহরানে একটি নিরাপদ বাসস্থানে নেওয়া হয়। অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন কারাগারে বন্দি পাঁচজন ইরানিকেও এই চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা ইরানে ফিরবেন না।
মার্কিন কারাগারে বন্দি নাগরিকদের নাম প্রকাশ করেছে ইরান। তারা হলেন— রেজা সারহাংপুর, কামবিজ আত্তার কাশানি, কাভেহ লোতফোলাহ আফ্রাসিয়াবি, মেহরদাদ মঈন আনসারি এবং আমিন হাসানজাদেহ।
মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকদের বহনকারী বিমানটি দোহায় অবতরণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বলেছেন, ‘আজ ইরানে বন্দি পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান অবশেষে দেশে ফিরছেন। তারা বছরে পর বছর যন্ত্রণা, অনিশ্চয়তা এবং কষ্টভোগ করেছেন।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের মধ্যস্থতা এই দুই দেশের বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকায় দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তি করা হয়। একটি সূত্র জানিয়েছে, দোহায় অন্তত নয় দফা আলোচনা হয়েছে। কাতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা চালিয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস