রামুর গহিন পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪২ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৪
কক্সবাজার: জেলার রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহিন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলা পাইন্ন্যাসা গহিন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
আটক আনোয়ার হোসেন (৩৫) রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকার মুছা আলীর ছেলে। আনোয়ার অস্ত্র তৈরি ও কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তিনি কারখানায় তৈরি করা অস্ত্র সরবরাহ এবং বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাইন্ন্যাসা গহিন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার খবর পায় র্যাব। এরপর র্যাবের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থল যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ থেকে ৪ জন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু টাঙানো অবস্থায় একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানাটিতে তল্লাশি চালিয়ে দেশে তৈরি ২টি বন্দুক, ৬০টি গুলি, ১৫টি শিসা, ১টি ছেনি, ১টি হাতুড়ি, ১টি বাইশ, ২টি রেত, ১টি প্লাস, ৫টি সুপার গ্লু, ৫০ গ্রাম বারুদ ও ১৫০টি বিয়ারিং বল পাওয়া যায়।’
আটক আনোয়ার র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেন বলে জানান লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আটক আনোয়ার হোসেন সংঘবদ্ধ অস্ত্র তৈরি চক্রের তিন সদস্যের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন। তারা ঈদগড়ের গহিন পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি তৈরি করে আসছিলেন। আর এসব অস্ত্র কক্সবাজার শহর এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকার অপরাধী চক্রের কাছে সরবরাহ করা হতো।’
পলাতকরাসহ অস্ত্র তৈরি চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
সারাবাংলা/ ওএফএইচ/এনএস