অধিকাংশ কারখানায় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর কমিটি নেই: বিলস
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১১ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:০৮
ঢাকা: দেশে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের কারখানাগুলোয় যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিতে যে কয়জন সদস্য থাকার কথা, তা নেই। কমিটিতে সাধারণত মালিকপক্ষের পছন্দের লোকদেরই গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কমিটি পরিচালার ক্ষেত্রে কোনো স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেমও নেই।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
তৈরি পোশাক খাতের কারখানায় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটির কার্যক্রম বিশ্লেষণ ও কার্যক্রমকে বেগবান করতে সুপারিশমালা তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা ও ভবিষ্যত অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্যে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বলা হয়, অধিকাংশ কারখানায় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর কমিটি না থাকলেও কিছু কিছু কারখানায় কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা মূল সুপারিশ ছিল কমিটি পরিচালনার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা, শ্রমবিধিতে বিতর্কিত অংশগুলো বাতিল করা, কমিটির সদস্যদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কমিটির সদস্য সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করা।
বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, ট্রেড ইউনিয়ন ও জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর