আমড়ার শরবতে স্বাগত, ইলিশ-কাচ্চিতে আপ্যায়ন ম্যাক্রোকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৫ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৪
ঢাকা: আমড়ার শরবতের পর ভাপা ইলিশ। এরপর খাশির কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে গরু-মুরগির পাশাপাশি বেগুনের তরকারি। শেষ পাতে দই-মিষ্টির সঙ্গে পিঠা। জিভে জল আনা এমন মেন্যুতেই আপ্যায়ন করা হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোকে। তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নৈশভোজ দিয়েছেন, সেই ভোজেই দেখা মিলেছে এমন সব দেশি খাবারের।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এমানুয়েল ম্যাক্রো। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নৈশভোজে যোগ দেন তারা।
দিনের হিসেবে সফর দুই দিনের হলেও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর ঢাকা সফর প্রকৃতপক্ষে ২৪ ঘণ্টার বেশি নয়। এর মধ্যেই তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশি খাবারের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- ঢাকায় ম্যাক্রো, বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রোববারের নৈশভোজে শুরুতেই ম্যাক্রোকে স্বাগত জানানো হয়েছে আমড়ার শরবত দিয়ে। এরপর অ্যাপেটাইজার হিসেবে ছিল ভাপা ইলিশ, সঙ্গে পেঁয়াজু ও সামুচা। আর স্যুপ হিসেবে ছিল মালেগেতানি স্যুপ, যেটি নানা ধরনের ডাল ও মাংস দিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় রেসিপিতে তৈরি।
প্রধান খাবার হিসেবে ম্যাক্রোর জন্য ছিল খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি। এর সঙ্গে ছিল গরুর শিক কাবাব, মুরগির কোরমা। রোস্টেড লবস্টারও ছিল এর সঙ্গে। আরও ছিল টক স্বাদে বেগুনের তরকারি। ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্য লুচিও।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের জন্য খাবারে ডেজার্টের তালিকাও পুরোটাই দেশি। ছিল পাটিসাপটা পিঠা। তার সঙ্গে ছিল মিষ্টি দই, রসগোল্লা আর বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল। এসব ফলের জুস আর কোমল পানীয় ছিল নৈশভোজে। চা আর কফির কথা তো বলাই বাহুল্য।
রোববার রাত ১০টার দিকে নৈশভোজ শুরুর আগে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিতরা এই নৈশভোজে অংশ নিচ্ছেন। রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও।
এর আগে রাত ৮টার কিছু পরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ম্যাক্রো। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এরপর লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
ভারতের নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ১৯৯০ সালে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁর বাংলাদেশ সফরের পর এই প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছেন। তার এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন বলে জানা গেছে।
ছবি: পিআইডি
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
এমানুয়েল ম্যাঁক্রো টপ নিউজ নৈশভোজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট