Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবিতে ভাঙচুর-তাণ্ডব, ২ মামলায় আসামি ৫০০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১৬

শাটল দুর্ঘটনার জেরে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবের দুই মামলায় দায়ের সাতজনের করে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী থানায় মামলা দুটি দায়ের হয়েছে বলে রাত ১০টা ৫১ মিনিটে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাগুলো দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাট এলাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গোমী চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে অন্তত ১৬ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার খবর রাতে ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে মূল ফটক অবরুদ্ধ করে অবস্থান নেন কয়েক’শ শিক্ষার্থী। ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এরপর তারা মিছিল নিয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর করেন। বাসভবনে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন ভেঙ্গে ফেলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ি, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। তাদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের শিক্ষক ক্লাবে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

রাত পৌনে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরে থাকা শিক্ষক বাস ও কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। ক্যাম্পাসের ভেতরে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ঘটনাস্থল অতিক্রম করতে গিয়ে বেশকিছু প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুরের শিকার হয়।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন। গভীর রাতে আন্দোলনের মধ্যেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপে মারামারি শুরু হয়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই সরে যান। রাত পৌনে ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট দিয়ে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা প্রবেশ করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে শিক্ষক ক্লাবে আটকে থাকা প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের উদ্ধার করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মূল ফটক খুলে দেন।

সারাবাংলা/আরডি/একে

চট্টগ্রাম টপ নিউজ ভাঙচুর

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর