Friday 03 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুবাইয়ে বসে প্রতারণা, হুণ্ডির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা পাচার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩ | আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুবাইয়ে বসে প্রতারণার জাল খোলেন চট্টগ্রামের দুই যুবক হাটহাজারীর সম্রাট ও সাতকানিয়ার মান্নান। ফেসবুকে ‘চাকুরির পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের’ বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজনকে প্রলুব্ধ করেন। এরপর বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেন কয়েক কোটি টাকা, যার বড় অংশ হুণ্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

অনলাইনকেন্দ্রিক এই প্রতারক চক্রের তথ্য পেয়ে নগর গোয়েন্দা বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশে অবস্থানরত সম্রাটের মা-ভাই ও এক ঘনিষ্ঠজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৪ টাকা উদ্ধার করেছে। যা প্রতারণার মাধ্যমে দেশে বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-ডিবি) সামীম কবির।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার তিন জন হলেন- সম্রাটের মা আরেফা বেগম, বড় ভাই আল ফয়সাল ও নিজাম উদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তি।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কয়েকজন নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ফেসবুকে ‘চাকুরির পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারবেন’- এমন বিজ্ঞাপন দেখে তারা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিজ্ঞাপনদাতা সম্রাট তাদের আউটাসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের কথা বলে নিজেদের তৈরি দু’টি ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে বলেন।

হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কিছু কাজের অর্ডার দিয়ে ভুক্তভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা জমা করতে থাকেন। এতে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস জন্মে। কিন্তু কয়েকদিন পর কাজে কিছু ভুল হওয়ায় অনলাইনে পয়েন্ট কাটা গেছে জানিয়ে টাকা তুলতে হলে ‘প্রি-পেমেন্ট’ করতে হবে বলে জানান। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগীরা সেই টাকা দেওয়ার পর হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

বিজ্ঞাপন

এডিসি সামীম কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তিন জন ভিকটিম পেয়েছি, যাদের কাছ থেকে ২২ লাখ, ১৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রি-পেমেন্টের নামে টাকা গ্রহণ করত সম্রাটের মা-ভাই ও ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক ব্যক্তি। আমরা এভাবে নেওয়া পৌনে দুই লাখ টাকার মতো উদ্ধার করেছি। বাকি টাকা ‍হুণ্ডির মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্রাটের কাছে পাচার করা হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। সম্রাটের সঙ্গে একই কাজে যুক্ত আছে মান্নান নামে আরও এক ব্যক্তি।’

তদন্তে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের একজন কাপড় ব্যবসায়ীও এ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটিতে গত দুই মাসে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও আরেকটিতে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

সামীম কবির বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ৪/৫ লাখ টাকার মতো লেনদেন হয়। হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়টি অবশ্যই সন্দেহজনক। তার সঙ্গে দুবাইয়ের মান্নান ও সম্রাটের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তিনিও প্রতারণার টাকা গ্রহণ করতেন বলে আমরা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। শুধু তিন জন ভুক্তভোগী নয়, সারাদেশে এমন আরও অসংখ্য লোক অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এক মাসের মধ্যে আমরা কত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সেটা বের করতে পারব।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

অনলাইন প্রতারণা টপ নিউজ টাকা পাচার দুবাই

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর