সাড়ে ৪ মাসের বিরতি ভেঙে কাপ্তাইয়ে ফিরলেন জেলেরা
১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০১
রাঙ্গামাটি: দীর্ঘ চার মাস ১২ দিন পর দেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে শুরু হলো মাছ ধরা। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতেই জেলেরা কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে নেমেছেন।
প্রায় সাড়ে চার মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। মৎস্য বিভাগের হিসাবে রাঙ্গামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা মিলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার।
কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এ সময় হ্রদের মাছ বাজারজাতকরণ এবং স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকে।
চলতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে কম থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাছ আহরণ বন্ধ করে দেয় মৎস্য বিভাগ। তিন মাস পরও পানির পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না উন্নীত হওয়ায় মাছ ধরা বন্ধের সময় বাড়ানো হয় আরও এক মাস ১২ দিন। শেষ দিকে এসে কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি বেড়েছে উজানের ডল আর বৃষ্টিপাতে। এতে গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছরই কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকা অবস্থায় মাছ আহরণ শুরু হচ্ছে।
এদিকে, জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, হ্রদে পানি কম থাকলে মাছ ধরার শুরুর দিকে ধরা পড়ে অতিরিক্ত মাছ, পরের দিকে গিয়ে আর মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। কিন্তু এবার হ্রদে পানিস্বল্পতা না থাকায় মৌসুমের শুরুর দিকেই মাত্রাতিরিক্ত মাছ আহরণের সম্ভাবনা নেই। তাতে বার্ষিক মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) কর্মকর্তারা।
কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ চার মাস ১২ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে আবার মাছ আহরণ শুরু হতে যাচ্ছে। জেলে, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেই এবার মাছ আহরণ শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের বিএফডিসির নিজস্ব প্রস্তুতি হিসেবে পণ্টুনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এ বছর কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় চলতি মৌসুমে হ্রদে মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আশরাফুল আলম ভূঁইয়াও।
সারাবাংলা/টিআর