‘ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় হুমকি’
৩১ আগস্ট ২০২৩ ০০:১৩ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০৬
ঢাকা: বাংলাদেশের আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বেআইনি ও অযৌক্তিক দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট দেশি-বিদেশি কিছু ব্যক্তির খোলা চিঠির ঘটনাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ বলে দাবি ১৪ দলের।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই কথা জানান ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নেতারা।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনের আশ্রয় গ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে চলমান বিচারিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ দাবি আদালত অবমাননার শামিল।’
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘ড. ইউনূসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার চলমান। নোবেল পুরস্কার পেলেই কেউ আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে চলে যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী অনেকের বিরুদ্ধে সেসব দেশের আইন অনুযায়ী মামলা হয়েছে এবং বিচার হয়েছে। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ভোগ করছেন, আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছেন। এই মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই।’
এসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, আইন ও বিচারব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাব বিস্তার করে এমন ধরনের বিবৃতি কিংবা তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান ১৪ দলের নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/এমও