খাদিজার মামলা নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
৩০ আগস্ট ২০২৩ ০০:১৯ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩ ০০:৪২
ঢাকা: অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে মামলা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। ওই মামলায় প্রায় এক বছর ধরে খাদিজা কারাগারে রয়েছেন। কয়েক দফা তার জামিন স্থগিতও করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলা নিয়ে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। জবি শিক্ষার্থী খাদিজাকে পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সাজা কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলাটি যখন আপিল বিভাগে উঠবে, তখন তিনি (খাদিজা) যেন বলেন যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সরকার যে পরিবর্তন এনেছেন, আদালত যেন সেই বিবেচনায় ব্যবস্থা নেন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- খাদিজাতুল কুবরাকে মুক্তি দিতে অ্যামনেস্টির আহ্বান
এর মধ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খাদিজার জামিন বা মুক্তি দাবি করেছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় বলেছি, সাব-জুডিস (বিচারাধীন) মামলা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকেই বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বক্তব্য দেন এবং তাদের স্বার্থে বিচার বিভাগকেও তারা কটাক্ষ করতেও বাধে না।
খাদিজা একজন শিক্ষার্থী। রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়েছে কি না, সেটিও জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। যেহেতু এই মামলা এখনো বিচারাধীন, সেহেতু এ নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে খাদিজার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করেছি। আর আজ আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি, যখন স্ট্যান্ড-ওভার থেকে জামিনের আবেদন আবার শুনানির জন্য যাবে, তখন সে ব্যাপারে (জামিনের পক্ষে) সরকারের অবস্থান থাকবে। আমার মনে হয় না আজ কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সর্বোচ্চ আদালত তার জামিন স্ট্যান্ড-ওভার করে রেখেছেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। সাইবার নিরাপত্তা আইনে আমরা মানহানির সাজা কারাদণ্ড বাতিল করে দিয়েছি। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি তাকে পরামর্শ দেবো, মামলাটি যখন আপিল বিভাগে উঠবে, তখন তিনি যেন বলেন— সাইবার নিরাপত্তা আইনে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, আপনারা সেই বিবেচনায় ব্যবস্থা নিন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর